বরুড়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

আরাফাত হোসেনঃ
আজ শুক্রবার পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হবে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩০। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল গত বৃহস্পতিবার। চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্রসংক্রান্তি। আবার বাংলা বর্ষের শেষ দিন,পহেলা বৈশাখ- নতুন বাংলা বর্ষ। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সব সংকীর্ণতা, কূপমণ্ডূকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সব ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোক-উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।আজ পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দিয়েছে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী এবং দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।

তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লার বরুড়ায় বরুড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী ও লোকজ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তফা। এই সময় উপস্থিত ছিলেন বরুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান,উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা মধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম সহ উপজেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, সাংবাদিকবৃন্দ।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

You cannot copy content of this page